[total_site_views]
Digital and handwritten brainstorming tools on a wooden desk, ideal for business and study contexts.

কিভাবে গবেষণা পত্রের ভূমিকা বা “Introduction” লিখবেন?

গবেষণা পত্রের ভূমিকা বা “Introduction” অংশটি লেখার সময় আপনার প্রধান লক্ষ্য হবে গবেষণার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরা, পাঠককে বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং গবেষণার মূল প্রশ্ন বা লক্ষ্য স্পষ্ট করা। ভালো Introduction লেখার কিছু ধাপ এখানে তুলে ধরা হলো:
  1. প্রেক্ষাপট বিবরণ (Background of the Study)

ভূমিকার শুরুতেই গবেষণার প্রেক্ষাপট বা মূল সমস্যা সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা দিন। বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝানোর চেষ্টা করুন। এই অংশে আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করছেন তা কীভাবে বৃহত্তর সমাজ বা ক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কিত তা উল্লেখ করতে পারেন।
এখানে গবেষণার টপিকের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট আলোচনা করা যেতে পারে। পরবর্তীতে অন্য প্যারায় নির্দিষ্ট এরিয়া নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
উদাহরণ: ” সমগ্র পৃথিবীতে এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর অবদান ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে, প্রবাসী নারীদের পাঠানো রেমিট্যান্স উন্নয়নশীল একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”

     2. সমস্যা নির্ধারণ (Problem Statement)

প্রেক্ষাপটের পরে, গবেষণার মূল সমস্যা বা প্রশ্নটি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করুন। এটি হতে পারে কোনো গ্যাপ (জ্ঞান বা পদ্ধতিগত)- Knowledge Gap / Methodological Gap, বিতর্ক, বা একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান।
উদাহরণ: “তবে, প্রবাসী নারীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা নেই, বিশেষত বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।”

৩. গবেষণার উদ্দেশ্য (Objective of the Study)

এবার আপনি আপনার গবেষণার মূল উদ্দেশ্য উল্লেখ করবেন। এই অংশে, কী জানতে বা প্রমাণ করতে চান তা স্পষ্টভাবে লিখুন।
উদাহরণ: “এই গবেষণার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের নারী প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কীভাবে তাদের পরিবারের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং নারী শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে তা নির্ধারণ করা।”

৪. গবেষণার অবদান (Significance of the Study)

ভূমিকার শেষ দিকে আপনার গবেষণাটি বিদ্যমান জ্ঞান বা সাহিত্যে কীভাবে অবদান রাখবে তা উল্লেখ করুন। এটি আপনার গবেষণার নতুনত্বও তুলে ধরবে।
উদাহরণ: “এই গবেষণা নারী রেমিট্যান্সের প্রভাব সম্পর্কে নতুন ধারণা প্রদান করবে, যা নীতি প্রণেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সহায়ক হবে।”

৫. গবেষণার কাঠামো (Outline of the Study)

ভূমিকার একদম শেষে গবেষণাপত্রের বিভিন্ন সেকশনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে পারেন, যাতে পাঠকরা কী কী প্রত্যাশা করতে পারে তার ধারণা পান।
উদাহরণ: “এই গবেষণাপত্রের প্রথম অংশে রেমিট্যান্স ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের তাত্ত্বিক আলোচনার পর্যালোচনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী অংশে বাংলাদেশি নারী প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রভাব নিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।”
সংক্ষেপে:
১. প্রেক্ষাপট দিন। ২. সমস্যা বা গ্যাপ চিহ্নিত করুন। ৩. গবেষণার উদ্দেশ্য উল্লেখ করুন। ৪. গবেষণার অবদান তুলে ধরুন। ৫. গবেষণাপত্রের কাঠামো বর্ণনা করুন।

Share on

Comment

Subscribe
Notify of
guest
2 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Asfarur Rahman
Asfarur Rahman
24 days ago

অসংখ্য ধন্যবাদ, অত্যন্ত সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দেয়ার জন্য।

Comment

Related topics

2
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x